নিজস্ব সংবাদদাতা, চকরিয়া-পেকুয়া ::
কালবৈশাখীর ঝাপটায় বিছিন্ন হওয়া বিদ্যুৎ দু’দিন পর আসলেও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়ার গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেলেও ২০ এপ্রিল বেলা ২টা পর্যন্ত কয়েকশ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করেছে। এ সময় টানা দশ মিনিটও বিদ্যুৎ স্থায়ী হয়নি।
জানা গেছে, হাইভোল্টেজে কিছুক্ষণ পর পর বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে বাল্ব, টিভি-ফ্রিজসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে বেশ ক’টি ঘরে। এতে দু’ উপজেলার চল্লিশ হাজার গ্রাহকের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গত ১৭ এপ্রিল বেলা ২টায় কালবৈশাখীর হাল্কা বাতাসে বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন হয়ে পড়ে। ১৮ এপ্রিল রাত ৮টায় চকরিয়ায় বিছিন্ন লাইন ঠিক হলেও কক্সবাজারে নষ্ট হওয়ায় টানা দুইদিন বিদ্যুৎবিহীন থাকে চকরিয়া-পেকুয়ার গ্রাহকরা। ১৯ এপ্রিল রাতে বিদ্যুৎ আসলেও শেষরাত থেকে ২০ এপ্রিল বেলা ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ এই আসে এই যায় অবস্থায় ছিল।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক কাকারা ইউনিয়নের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি সরকার পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ দিলেও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সঞ্চালন লাইন দুর্বল রেখে দেয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা। আমরা পল্লী বিদ্যুৎ থেকে মুক্তি চাই। ফের পিডিবি’র লাইনে অন্তর্ভুক্ত হতে চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চকরিয়া জোনাল অফিসের এজিএম হানিফুল হাসান বলেন, সঞ্চালন লাইন ঠেকসই না হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিচ্ছে। লোড ক্যাপাসিটি সম্পন্ন লাইন নির্মাণ শেষ হলে এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে না গ্রাহকদের।
পাঠকের মতামত: